Sunday, August 21, 2016



=== জণ্ডিস রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা == 

 সংজ্ঞা ( Definition ) -

ইহার অপর নাম কামলা, ন্যাবা । যকৃতের পিত্ত নিঃসরণ ক্রিয়ার স্বল্পতা অথবা অবরুদ্ধতাবশতঃ রক্তসহ পিত্ত মিশ্রিত হয়ে শারীরিক রক্ত মধ্যে সঞ্চালিত হয়ে শরীরস্থ চর্ম, চোখের শ্বেত বর্ণ স্থান, মুত্র পীত বর্ণ হলে তাকে জণ্ডিস বলে । জণ্ডিস নিজে কোন রোগ নয়, যকৃতের নানা প্রকার রোগের 
উপসর্গ মাত্র । লিভারস্থিত পিত্তস্থলী ( Gall bladder ) হতে নিঃসৃত পিত্ত কোন কারণে যথারীতি বের হয়ে অন্ত্রে প্রবেশ করতে না পেরে যখন রক্তে মিশ্রিত হয় তখন চোখ মুখ হাত পা সর্ব শরীর হরিদ্রা বর্ণের হয় । Dr Davidson বলেনঃ- “ Jaundice is a referring yellow appearance of the skin and mucus membrane resulting from an increase bilirubin concentration in the body fluids ” . 

কারণ ( Aetiology )-

➽ রক্তের লোহিত কণিকাগুলি ( RBC ) ধ্বংস অর্থাৎ হ্যামোলাইসিস হেতু । 

➽ হেপাটাইটিস, Viral Hepatitis হলে Hepato Cellular জণ্ডিস হতে পারে । 

➽ লিভারের উপর থেকে অন্ত্রের মধ্যে প্রবাহিত হবার যে পিত্ত পথ বা Bile duct থাকে সেই Bile duct এর কোন অংশে বা কোন স্থানে অবরোধ হলে ।

➽ ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, সর্পদংশন ইত্যাদি কারণে হেমোলাইটিক জণ্ডিস হতে পারে । 

➽ গলস্টোন বা পিত্তকোষে পাথর জমলে তার ফলে পিত্ত নিঃসরণ বাঁধা পায় এবং জণ্ডিস হতে পারে । 

➽ রক্তদোষ জনিত কারণে Haemolytic জণ্ডিস হতে পারে । 

➽ বিষাক্ত ও সংক্রামক জীবাণু ঘটিত কারণে হতে পারে ।

জটিল উপসর্গ ( Complications )-

➽ লিভারে ফোঁড়া হতে পারে । 
➽ জণ্ডিস থেকে লিভার সিরোসিস হতে পারে । 
➽ দীর্ঘদিন জণ্ডিসে ভুগলে Liver Cancer হতে পারে ।

রোগ নির্ণয় ( Diagnosis )-

➽ মুখে তিক্ত আস্বাদ অনুভব ।
➽ পেটের ডানদিকে বা বামদিকে বেদনার অনুভব হতে পারে । 
➽ চোখের সাদা অংশ হলুদাভ, বমি, পিত্তবমি এবং জ্বর ভাব । 
➽ গায়ের ঘাম হলুদ বর্ণ, জামা কাপড় বিছানায় এই ঘাম লাগলে তাও হলুদ দেখায় । 
➽ ক্ষুধা হীনতা, খাদ্যে অরুচি, কাদা বর্ণের মল, কালো বা সাদা বর্ণের মল । 
➽ প্রস্রাব হলুদ, সরষের তেলের মত । 
➽ রক্তহীনতার ভাব, প্রস্রাবে প্রচুর পরিমাণে ইউরো বিলীন থাকে ।

আধুনিক পরীক্ষা ( Modern Scientific Pathological Investigation )

➽ Urine Test . 
➽ Liver function test . 
➽ Liver Biopsy . 
➽ TC. DC. Hb% .
➽ RBS Sicklong Test .
➽ Blood Culture . 
➽ Haemogram .
➽ Stool ( RE ) 
➽ Urine ( RE ) . 
➽ Bilirubin / SGOT / SGPT / Total Protein A ; G .

লক্ষণানুসারে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্বাচন-

➽ লিভার অঞ্চলে, ডানদিকে, ডানস্কন্ধে বেদনা ।  জিহ্বা পরিষ্কার, গাঢ় লালবর্ণ বা তিক্ত স্বাদ ।  হরিদ্রা বর্ণের মল, সাদা মল ,চোখ মুখ হরিদ্রা বর্ণ এবং শরীরও হরিদ্রাবর্ণ ।  চেলিডোনিয়াম Q  ৪/৫ ফোঁটা মাত্রায় জলের সঙ্গে দিনে তিন বার সেব্য ।


➽লিভার স্ফীত ও প্রদাহ । সূচীভেদ্য বেদনা । জ্বর ।  অত্যন্ত পিপাসা, পিত্ত বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য । জিহ্বা ময়লার প্রলেপ, হলদে বর্ণের লেপ । নড়াচড়া যন্ত্রণাবৃদ্ধি । উত্তাপে ও চাপে উপশম ।  ব্রায়োনিয়া 6/30 দিনে ৩ বার সেব্য ।

➽যকৃত শক্ত, বৃদ্ধি । কোষ্ঠকাঠিন্য । প্রচণ্ড ব্যথা, লিভার অঞ্চলে বেদনা । উত্তেজক দ্রব্যাদি পানাহারে রোগ সৃষ্টি । মুখে অরুচি, মুখে তিক্ত স্বাদ । অম্লস্বাদ । নাক্স-ভমিকা 1x  দিনে ২ বার সেব্য । 


 পিত্ত বমি, পিত্ত বদ্ধ হয়ে রোগ সৃষ্টি । যকৃতে টাটানি ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা উদরাময় । সর্বদাই গা বমি বমি ভাব । পেটের উপর চাপ দিয়ে শুয়ে আরাম । দীর্ঘ দিনের অজীর্ণতা । পডোফাইলাম 3/6 দিনে ৩ বার সেব্য । 

➽ লিভার স্থানে অত্যন্ত বেদনা । সর্বদাই মলবেগ ।  তৎসহ পাকাশয়িক গোলযোগ । গুহ্যদবারে বেদনা ।  বুকজ্বালা, ভুক্ত দ্রব্যবমন । কাদার মত মল ।  বার্বেরিস Q , ৩/৪ ফোঁটা মাত্রায় জলে গুলিয়া দিনে ৩ বার সেব্য ।

➽ টাইফয়েড বা কোন উৎকট ব্যাধির উপসর্গ । পারদ ব্যবহারের কুফল । জ্বরের পর জণ্ডিস রোগ, অজীর্ণতা ।  আর্সেনিক 6/30  দিনে ২ বার সেব্য । 

➽ম্যালেরিয়া জনিত জণ্ডিস । মুখমণ্ডল মলিন । পিত্তযুক্ত তরল মল, পিত্ত পাথুরি । লিভারে সুচ ফুটানো বেদনা । মুখে তিক্ত স্বাদ । অতিশয় দুর্বলতা ।  চায়না 3x  দিনে ৩ বার সেব্য । 

➽গর্ভাবস্থায় জণ্ডিসে উপকারী । চোখ, মুখ, সর্ব শরীর হলুদ । প্রচুর ধুসর বর্ণের মল, কালচে মুত্র ।স্বর ভঙ্গ, কাশি, হতাশার ভাব ।  ফসফরাস 3x দিনে ৩ বার সেব্য ।

লিভারে রক্ত জমা । নাক দিয়ে রক্ত পড়ে । জিহ্বায় ময়লার প্রলেপ । জিহ্বা ফাটা । মুখের স্বাদ তিক্ত । কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব । মল শক্ত, গাঁট গাঁট । কার্ডুয়াস Q, ২/৩ ফোঁটা মাত্রা জলে গুলিয়া দিনে ।


 কোষ্ঠকাঠিন্য । ফ্যাঁকাসে বা হলদে বর্ণের মুত্র । বিছানায় হলুদ বর্ণের দাগ লাগা । নাড়ী ক্ষীণ, কোমল সর্বাঙ্গে হলুদ বর্ণ । লিভারের পুরাতন রোগ, লিভার প্রদাহ । ভোরের দিকে অধিক দুর্বলতা । চর্মরোগ সহ লিভার দোষ । নরম মল, কালো মল, দুপুরে খাবার পরই পায়খানা ।  মার্কভাই 6/30  দিনে তিন বার সেব্য ।


➽ সিরোসিস লিভার জনিত জণ্ডিস । পারদের অপব্যবহার হেতু । প্লীহার রোগ । খায়দায় ভাল কিন্তু শীর্ণ চেহারা । খাবার পর বমি । উদরাময় ও কোষ্ঠকাঠিন্য পর্যায়ক্রমে । আয়োডাম 6/30  দিনে তিন বার সেব্য 


➽লিভার বেদনা । জ্বর । ছাইয়ের মত বা কাদার মত মল । ক্ষুধাহীনতা, খাদ্যে অরুচি । সমস্ত শরীর হলুদ বর্ণ, গা বমি বমি । জিহ্বা অপরিষ্কার । উদরাময় । চায়নার সঙ্গে পর্যায়ক্রমে ব্যবহার ।  মার্কসল 6/30  দিনে দুই বার সেব্য।

 পিত্তের দোষ, টক বমি, তিক্ত টক মিশ্রিত বমি । অধিক মাত্রায় পিত্ত নিঃসরণ । মাথার সম্মুখ ভাগে বেদনা । বমি ভাব । সমস্ত অন্ত্রে জ্বালা পোড়া ভাব । রক্তাক্ত, টক ও পিত্ত বমি, ক্ষুধাহীনতা । আইরিস ভার্স Q, ২/৩ ফোঁটা মাত্রায় জলে গুলিয়া প্রত্যহ তিন বার সেব্য।

➽ জণ্ডিসের পূর্ণ লক্ষণ, নিদ্রাহীনতা । স্কন্ধ অস্থি দুটিতে বেদনা, বায়ু নিঃসরণ । পেশী বেদনা । ভয়ংকর নিদ্রাহীনতা । হাঁটাচলার সময় বায়ু নিঃসরণ । মলের বেগ, কিন্তু বায়ু ছাড়া কিছুই নিঃসরণ হয় না । মাইরিকা Q , ২/৩ ফোঁটা মাত্রায় জলে গুলিয়া প্রত্যহ তিন বার সেব্য ।

➽লিভারে বেদনা, উদরাময়, কাদার মত মল । ম্যালেরিয়া দোষ । মাথায় যন্ত্রণা, ঘুম ঘুম ভাব । চোখে জ্বালা পোড়া । জিভে হলুদ ময়লা । কালো দুর্গন্ধযুক্ত মল । পিত্ত মিশ্রিত মুত্র, কালোবর্ণ । টাইফয়েডর মল কালো আলকাতরার মত এবং জণ্ডিসের মল কাদার মত । গুহ্যদ্বার বেড়িয়ে যায় ।  ল্যাপটেন্ডরা Q , ২/৩ ফোঁটা মাত্রায় জলে গুলিয়া প্রত্যহ তিন বার সেব্য ।

➽লিভারের ক্রিয়া খারাপ, অত্যন্ত বেদনা । গ্যাসস্ট্রিকের দোষ, গলস্টোন ।ডান অণ্ডকোষে টেনে ধরার ন্যায় বেদনা । মেরুদণ্ড অঞ্চলে ( Lumbar region ) ভয়ানক ব্যথা বসা থেকে উঠতে গেলে হাতে ভর দিয়ে উঠতে হয় । হাইড্রাসটিস 30 , দিনে দুই বার সেব্য।

পথ্য এবং আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থা -

পেটে ভয়ংকর বেদনা হলে গরম সেঁক উপকারী । লিভার স্থান এবং পেটের বাম দিকে । পেঁপের রস, কালোমেঘের পাতার রস খেলে উপকার । কমলা লেবু, বাতাবী লেবুর রস, আনারসের রস উপকারী । পুরাতন যব, গম, চাল, মসুরের ডালের জুস উপকারী । পাকা কুমড়া, কাঁচা কলা, হিঞ্চে, তরিতরকারি, সিঙ্গি মাছ, ঘোল, মাখন খাওয়া যায় । যথেষ্ট পরিমাণ গ্লুকোজের জল পান করা উপকার । উগ্রমশলা যুক্ত খাদ্য, ঘি, তেল, মাছ, মাংস খাওয়া নিষেধ । জ্বর অবস্থায় সাবু, বার্লি, এরারুট দেয়া যায় যদি হজম হয় তবে উহার সঙ্গে সামান্য পরিমাণ দুধ দিয়ে মিছরি ফেলে দেয়া ভাল । কোন ভাজা, তেলে ভাজা, ঝাল, টক, বাসি একদম নিষেধ । থানকুনি পাতার রস উপকারী । মাঝে মাঝে বেলপোড়া খেলে পায়খানা পরিষ্কার হয় । রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখা এবং সাধারণ স্বাস্থ্য রক্ষা নিয়ম পালন  করতে হবে।

সতর্কতা-
অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই লক্ষণের উপর ঔষধ সেবন করা যাবে না । 
চুল পড়া রোধে অব্যর্থ কিছু কৌশল জেনে নিন!


➽ চুল পড়া রোধে অব্যর্থ কিছু কৌশল জেনে নিন! চুল পড়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা। ছেলে মেয়ে উভয় এই সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকেন। চুল একবার পড়া শুরু হলে তা বাড়তে থাকে। সাধারণত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতিদিন ১০০টা চুল পড়া hair fall স্বাভাবিক। এর বেশি পড়লে সেটি চিন্তার কারণ।

➽বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে। 
তার মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হল,-

বংশগত 
হরমোনের পরিবর্তন
 ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
 মানসিক দুশ্চিন্তা 
গর্ভবস্থায় অনেক সময় চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায় 
আয়রনের অভাব 
বিভিন্ন অসুখের কারণে 
আমিষের অভাবে 

➽ চুল পড়া রোধে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। এই কাজগুলো চুল পড়া রোধ করবে অনেকখানি।যেমন-

১। চুল ময়েশ্চারাইজড রাখুন শুষ্ক রুক্ষ চুল আঁচড়ানো বেশ কঠিন। যার কারণে চুল আঁচড়ানোর সময় অনেক চুল উঠে আসে। চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখুন। সপ্তাহে তিনবার চুলে তেল ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভাল কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করা।

২। খুশকি থেকে দূরে থাকুন চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ হল খুশকি। খুশকি চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয় এবং চুল পড়া বৃদ্ধি করে। এই খুশকি চিরতরে দূর করে দেবে টকদই! অর্ধেকটা লেবুর রস টকদইয়ের সাথে মিশিয়ে নিন। এটি চুলে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। 

৩। ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন অনেকেই ভেজা চুল আঁচড়িয়ে থাকেন। চুল ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া অনেক নরম থাকে। এর ফলে খুব সহজেই চুল পড়ে যায়। এছাড়া ভেজা চুল ঝাড়াও অনেক ক্ষতিকর। 

 ৪। চুল পরিষ্কার রাখা নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা। অনেকে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করেন। প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু না করে সপ্তাহে দুই দিন চুল শ্যাম্পু করুন। চেষ্টা করবেন হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করার।

 ৫। নারকেলের দুধের ম্যাসাজ নারকেল চুলের জন্য বেশ উপকারি। কিছু পরিমাণ নারকেল ব্লেন্ড করে দুধ বের করে নিন। এবার এটি মাথার তালুতে ১৫-২০ মিনিট ম্যাসাজ করে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

 ৬। আগা ফাটা দূর চুল নষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ হল আগা ফাটা। এই সমস্যাটা বড় চুলে বেশি হয়। অতিরিক্ত রুক্ষতা আগা ফাটার জন্য দায়ী। নিয়মিত তেলের ব্যবহার কিছুটা হলেও এই সমস্যার সমাধান করবে। 

 ৭। হেয়ার প্যাক ব্যবহার আমলকী চুল পড়া রোধে বেশ কার্যকর। আমলকীর গুঁড়ো, শিকাকাই গুঁড়ো এবং টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। 

এছাড়া শুকনো আমলকী নারকেল তেলে দিয়ে গরম করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত তেল কালো না হয় ততক্ষণ জ্বাল দিন। ঠান্ডা হলে এই তেল চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। নিয়মিত ব্যবহার চুল পড়া লক্ষ্যনীয়ভাবে কমে যাবে।
ঔষধের উৎস ও ক্রিয়াক্ষেত্রঃ-

ক্যান্থারিস(Cantharis Vasi)-
স্পেনদেশীয় একপ্রকার ক্ষুদ্র মাছির টিংচার ---- কিড্ নী , মূত্রনালী ও চর্ম্মের উপর ইহা প্রধান ক্রিয়া !

প্লাটিনা(Platinum)-
ধাতু, ইহা হইতে ট্রাইটুরেসন আকারে ঔষধ প্রস্তুত হয় --ব মূল্যবান ঔষধ ,জড়ায়ু , ডিম্বকোষ, মস্তিষ্ক,স্নায়ু ইত্যাদির উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া 

 প্লম্বম মেট ( Plumbum Met.)-
সীসা হইতে ট্রাইটুরেসন আকারে ঔষধ প্রস্তুত হয় ---- রক্ত, পরিপাক যন্ত্র ও নার্ভাস system - এর উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া !

 সোরিণাম(Psorinum)-
পাঁচড়ার পূঁজ হইতে এ ঔষধ প্রস্তুত হয়-- ইহা একটি নোসোড্ স ঔষধ এবং গভীর ক্রিয়াশীল এন্টিসোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক ও টিউবারকুলার ঔষধ ! সালফার প্রয়োগে কোনও উপকার না হইলে - সোরিণামে উপকার হয় ! বহুদিনের কোন পুরাতন ব্যাধিতে যখন সুনির্ব্বাচিত ঔষধে উপকার না হয় অথবা স্থায়ীভাবে ক্রীয়া না করে, কিম্বা সালফারের লক্ষন থাকিয়া সল্ ফার প্রয়োগেও কিছুমাত্র উপকার না হয়, তখন সোরিণামে উপকার হওয়া সম্বব( সালফারের রোগীর গরম ও সোরিনামের রোগীর ঠান্ডা সহ্য হয় না )

 সিফিলিয়াম(Syphilinum)- 
ক্ষতের বিষ হইতে এই ঔষধটি প্রস্তুত হয় ! ইহা একটি নোসোডস ও এন্টি সিফিলিটিক জাতীয় ঔষধ।
কোন রোগের সংক্রামক বিষ, পূঁজ কিম্বা বীজ হইতে সেই রোগের ঔষধ প্রস্তুত হইলে তাহাকে ইংরেজীতে -- নোসডস(Nosodes) কহে ! 
আজকাল উক্তপ্রকার অনেক নোসোডস ঔষধ আবিষ্কর হইয়াছে, তন্মধ্যে ---- এনথ্যাসিনাম, ব্যাসিলিনাম, টিউবার্কিউনাম, সোরিণাম, ভেরিওলিনাম, ভ্যাক্রিনিনাম ও মেডোহ্রিণাম ইত্যাদি !

 মেডোহ্রিণাম( Medorrhoenum)-
ইহা একটি নোসোডস জাতীয় ঔষধ ! প্রমেহের পূঁজ হইতে ইহা প্রস্তুত হইয়া থাকে! প্রমেহ পীড়ায় যথারীতি চিকিৎসা না হইয়া কিম্বা প্রমেহস্রাব বন্ধ হইয়া নানাপ্রকার স্বাস্থ্যের অপকর্ষতা ঘটিতে থাকিলে ইহার দ্বারা বিশেষ উপকার হয় ! এই ঔষধটি বাতরোগের প্রায় একপ্রকার মহৌষধ বলা যাইতে পারে !.
একটি ঔষধের সহিত অপর ঔষধের সম্বন্ধ ও ক্রিয়াকাল


➽ আরোগ্য কারী ঔষধের নাম - এসেটিক এসিড ।

➟ পরিপূরক ঔষধের নাম - চায়না ।
শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের নাম - বোরাক্স , কষ্টিকাম , নাক্স , রানান বাল্ব , সারসা। 
প্রতিষেধক ঔষধের নাম - একোনাইট ন্যাপ , নেট – মিউর , নাক্স , সিপিয়া , টেবেকাম ।
ঔষধের ক্রিয়াকাল  – ১৪ হইতে ২০ দিন ।

➽ আরোগ্য কারী ঔষধের নাম - এসিড ফ্লুরিক ।

 পরিপূরক ঔষধের নাম - সাইলি , কোকা ।
 আরোগ্যকারী ঔষধ যা পরে সুপ্রযোজ্য - গ্র্যাফাইটিস , নাইট্রিক এসিড ,
শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের নাম - ............।
প্রতিষেধক ঔষধের নাম - সাইলি ।
 ঔষধের ক্রিয়াকাল  – ৩০ দিন ।

➽ আরোগ্য কারী ঔষধের নাম- এসিড ল্যাকটিক

➟ পরিপূরক ঔষধের নাম- ............।
➟ আরোগ্যকারী ঔষধ যা পরে সুপ্রযোজ্য- সোরিনাম ।
➟শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের নাম- কফিয়া ।
➟প্রতিষেধক ঔষধের নাম - ব্রায়োনিয়া ।
➟ঔষধের ক্রিয়াকাল  – ...............।

➽ আরোগ্য কারী ঔষধের নাম - এসিড মিউর 

➟পরিপূরক ঔষধের নাম - ..................।
➟ আরোগ্যকারী ঔষধ যা পরে সুপ্রযোজ্য - ক্যাল্কে – কার্ব , কেলি-কার্ব , নাক্স , পালস , সিপিয়া , সালফার , সাইলি ।
➟ শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের নাম - ............ ।
➟প্রতিষেধক ঔষধের নাম - ব্রায়োনিয়া , ক্যাম্ফার ।
➟ ঔষধের ক্রিয়াকাল  – ৩৫ দিন ।

➽আরোগ্য কারী ঔষধের নাম - এসিড নাইট্রিক 

➟ পরিপূরক ঔষধের নাম - আর্সেনিক , ক্যালাডি ।
➟ আরোগ্যকারী ঔষধ যা পরে সুপ্রযোজ্য - আরনিকা , এরাম –ট্রিফাই , বেল , ক্যাল্কে-কার্ব , কার্বোভেজ , কেলি-কার্ব , ক্রিয়ো , মার্কুরিয়াস , ফস , পালস , সাইলি , সালফ , সিপিয়া , থুজা ।
➟শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের নাম - ল্যাকেসিস পরে ক্যাল্কে-কার্ব ।
➟ প্রতিষেধক ঔষধের নাম - একোন , ক্যাল্কে-কার্ব , হিপার , কনিয়াম , মার্কু , মেজেরিয়াম , সালফার ।
➟ ঔষধের ক্রিয়াকাল  – ৪০ হইতে ৬০ দিন ।

♡  তথ্যসূত্র :
ডাঃ উইলিয়াম বোরিক , এম, ডি 
মেটেরিয়া মেডিকা ।


আসুন প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো থাকি


গরমে সর্দি-কাশি-জ্বর-মাথাব্যথা থেকে--

গরমেই ঠান্ডা লাগে বেশি। চলতি কথায় সর্দিগর্মি। খুবই বিরক্তিকর সমস্যা এটি। নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া, নাক বন্ধ, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, জ্বর, কাঁপুনি—এগুলো হলো এর প্রধান লক্ষণ। আবহাওয়ার আকস্মিক ও দ্রুত পরিবর্তন, গরমে ঘাম ও রোদের তাপ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বেরিয়েই প্রচণ্ড গরম, আবার প্রচণ্ড গরম থেকে এসে খুব ঠান্ডা পানি বা বরফপানি পান করা—এই সবকিছু মিলিয়ে সর্দিগর্মির প্রকোপ এ সময় বেশি। অ্যালার্জির কারণ ছাড়াও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো না-কোনো ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আসল আসামি রাইনো ভাইরাস।তাপমাত্রার ওঠা-নামায় এই ভাইরাস যেমন দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, আর প্রকৃতিতে বেঁচে থাকতেও পারে বেশ কয়েক ঘণ্টা। তবে আর দশটা ভাইরাসজনিত রোগের মতো এই রোগও তেমন মারাত্মক কিছু নয়। সেরেও যায় তেমন কোনো চিকিৎসা ছাড়াই।

1. প্রচুর পানি পান করুন। কোমল পানীয়, অ্যালকোহল বা এনার্জি ড্রিংক নয়; দরকার শুধুই মৌসুমী ফল বা ফলের রস। প্রচুর বিশ্রাম নিন। ভালো ঘুম দিন। তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।

2. গলা ব্যথা বা অস্বস্তিভাব কাটাতে আধকাপ কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। প্রচুর ভিটামিন সি ও জিংকযুক্ত খাবার খান। লেবু ও লেবুজাতীয় ফলে আছে ভিটামিন সি। গরম স্যুপ, গরম পানিতে লেবুর রস বেশ উপকারী। দোকান থেকে দোকানির পরামর্শে কফ সিরাপ বা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না, এতে অনেক সময়ই হিতে বিপরীত হতে পারে।

৩. সর্দিগর্মির সাথে যদি কাশি হয় তাহলে তুলসী ও আদার রস খুব উপকারে দেয়। ফুটন্ত পানিতে তুলসী পাতা ও আদা দিয়ে ভালো করে ফোটান। ঈষদুষ্ণ এই মিশ্রণ খুশখুশে কাশি দূর করবে ও বুকে কফ জমতে দেবে না।আধা চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ার সাথে দুই চা চামচ মধু ও অল্প আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন।আদার রসের সাথে মধু ও মেথিগুঁড়া মিশিয়ে খান। গলাব্যথা থাকলে কমে যাবে।

৪. ফুটন্ত পানিতে দারুচিনি, লবঙ্গ, মধু, গোলমরিচ, থেঁতো করা তুলসী পাতা ও আদা দিয়ে ভালো করে ফোটান। হালকা গরম অবস্থায় বার বার চুমুক দিয়ে খান। সর্দি ভেতর থেকে বেরিয়ে যাবে। গলাব্যথাও কমে যাবে।

5. আকুপ্রেসার থেরাপি করেও খুব সহজেই সর্দি-কাশি-জ্বর-মাথাব্যথা নিরাময় করতে পারি।
অসহ্য খাদ্যের সদৃশ হোমিওপ্যাথিক ঔষধাবলী


লবণ সহ্য হয় না > অ্যালুমিনা, কার্বোভেজ, লাইকো, নাক্স ভমিকা, ফসফরাস, সেলিনিয়াম ।

মিষ্টি সহ্য হয় না > অ্যান্টিম-ক্রুড, আর্জেন্ট-নাইট্রিকাম, ক্যামোমিলা, গ্র্যাফাইটিস, ইগ্নেসিয়া, মার্ক-সল, সেলিনিয়াম, সালফার, স্পঞ্জিয়া, থুজা, মেডো ।

অম্ল সহ্য হয় না > অ্যান্টিম-ক্রুড, আর্জেন্ট-নাইট্রিকাম, আর্সেনিক, বেল, ফেরাম, ল্যাকেসিস, সালফার, সিপিয়া ।

আলু সহ্য হয় না > এলুমিনা, কলোফাইলাম, নেট্রাম-সালফ, সিপিয়া, ভিরেট্রাম ।

বাঁধাকপি সহ্য হয় না > ব্রাইও, চায়না, লাইকো, ম্যাগ-কার্ব, নেট্রাম-সালফ, পেট্রোলিয়াম, পালস ।

কড়াই বা গুটি সহ্য হয় না > ব্রাইও, ক্যাল্কেরিয়া-কার্ব, লাইকো, পেট্রোলিয়াম ।

মাখন সহ্য হয় না > আর্সেনিক, কার্বোভেজ, চায়না, সাইক্লামেন, ফেরাম ফস, টিলিয়া, পালস, সিপিয়া ।

পাউরুটি সহ্য হয় না > অ্যান্টিম-ক্রুড, ব্যারাইটা-কার্ব, ব্রাইও, কষ্টিকাম, নেট্রাম-মিউর, নাইট্রিক-অ্যাসিড, নাক্স ভম, পালস, রাসটক্স, সারসা, সিপিয়া, সালফার ।

ডিম সহ্য হয় না > কলচিকাম, ফেরাম ।

মাছ সহ্য হয় না > প্লাম্বাম, নেট্রাম-সালফ ।

ফল সহ্য হয় না > আর্সেনিক, ব্রাইও, চায়না, কলোফাইলাম, নেট্রাম-সালফ, পালস, ভিরেট্রাম ।

তরমুজ সহ্য হয় না > আর্সেনিক ।

মাংস সহ্য হয় না > কলচিকাম, ফেরাম, কেলি-বাই, টিলিয়া, পালস ।

দুধ সহ্য হয় না > ইথুজা, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, ক্যাল্কেরিয়া সালফ, চায়না, কোনিয়াম, ম্যাগ-মিউর, নাইট্রিক অ্যাসিড, সিপিয়া, সালফার ।

স্তন্য সহ্য হয় না > ইথুজা, স্যানিকুলা, সাইলিসিয়া ।

পেঁয়াজ সহ্য হয় না > লাইকো, পালস, থুজা ।

চা সহ্য হয় না > ইস্কুলাস, চায়না, ফেরাম, সেলিনিয়াম, থুজা ।

খদ্যদ্রব্য গরম সহ্য হয় না > আম্ব্রাগ্রেসিয়া, অ্যানাকার্ডিয়াম, ব্যারাইটা কার্ব, বেল, ব্রাইও, কার্বোভেজ, ক্যামোমিলা, কক্কাস-ক্যাক, কুপ্রাম, ইউফ্রেসিয়া, কেলি-কার্ব, ল্যাকেসিস, ম্যাগ-মিউর, মেজেরিয়াম, নাইট্রিক অ্যাসিড, ফসফরিক অ্যাসিড, ফসফরাস, পালস, রাসটক্স ।

খাদ্যদ্রব্য ঠাণ্ডা সহ্য হয় না > অ্যান্টিম-ক্রুড, আর্জেন্ট নাইট্রিক, আর্সেনিক, বোভিষ্টা, ব্রাইও, ক্যাল্কেরিয়া ফস, কার্বোভেজ, ককুলাস, কোনিয়াম, ডালকামরা, গ্র্যাফাইটিস, হিপার, ক্যালি-কার্ব, ক্রিয়োজোট, ল্যাকেসিস, লাইকো, ম্যাঙ্গানাম, মার্কসল, নেট্রাম-সালফ, নাইট্রিক অ্যাসিড, নাক্সভম, ফসফরিক অ্যাসিড, পালস, রডোডেনডন, রাসটক্স, সিপিয়া, সাইলি, সালফার, ভিরেট্রাম ।

খাদ্যের গন্ধ সহ্য হয় না > আর্সেনিক, ককুলাস, কলচিকাম, ডিজিটেলিস, ইপিকাক, ল্যাকেসিস, সিপিয়া, ষ্ট্যানাম ।


অতিরিক্ত স্রাব যখন শারীরিক ক্ষতির কারণ



মেয়েদের অতিরিক্ত সাদা স্রাব-


অনেক সময় মেয়েদের অতিরিক্ত সাদা স্রাব ক্ষরণ হয় এটি যেকোনো বয়সেই হতে পারে অনেকে এটাকে লিউকোরিয়া বলে থাকেন কোনো কোনো সময় বেশি স্রাব গিয়ে মেয়েদের অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দেয় স্বাভাবিক নিয়মে কিছুটা স্রাব যেতেই পারে; কিন্তু সেটা যদি হয় দুর্গন্ধযুক্ত, সাথে থাকে মাসিকের পথে অথবা আশপাশে অস্বাভাবিক চুলকানি কিংবা মাত্রাতিরিক্ত সাদা স্রাব তখন আপনাকে নজরে আনতেই হবে আপনি একজন গাইনি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করবেন স্রাবের জন্য যদি আপনার কাপড় নষ্ট হয় কিংবা আপনার প্যাড নিতে হয় সেটা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে আর সাথে দুর্গন্ধ যেটা সেটা কয়েক রকম ইনফেকশানের জন্যও হতে পারে।

অতিরিক্ত সাদা স্রাবের কারণঃ-

রকম স্রাবের কিছু কারণও আছে ভ্যাজাইনাল ট্রাইকোমোনাস, ভ্যাজাইনাল ক্যানডিডিয়াসিস কিংবা ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের জন্যও রকম সমস্যা হতে পারে একটু বয়স্কাদের ক্ষেত্রে জরাযুর মুখ কিংবা জরাযুর ক্যান্সার (Cervical Cancer, Endomet) ইত্যাদি কারণের জন্যও স্রাব দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে জন্য বলছি, কারণ যেটাই থাকুক না কেন সেটা সঠিকভাবে শনাক্ত করা এবং সেটার সঠিক চিকিৎসার জন্য আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে অনেকের আবার বারবার ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা বলে থাকেন কোনো কোনো ক্ষেত্রে চিকিৎসাব্যবস্থা স্বামীকেও নিতে হয় সে ক্ষেত্রে কেন স্বামীকে চিকিৎসা নিতে হয় চিকিৎসক বুঝিয়ে বলবেন

রুণীদের ক্ষেত্রে ধরনের সমস্যা ভবিষ্যৎ গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে বন্ধ্যত্ব পর্যন্ত করে দিতে পারে রকম ইনফেকশন যেটাকে বলে পিআইডি (পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ) জাতীয় সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে পিআইডির ক্ষেত্রে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাবসহ তলপেটে ব্যথা হয়ে থাকে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তলপেটের ব্যথা কিছুটা কম মাত্রায় হওয়াতে অনেকে এটাকে আমলে নেন না; কিন্তু ধরনের ইনফেকশন হলে চিকিৎসা নিতেই হবে

অনেকের এই সমস্যার সাথে মাসিকের সময় প্রচণ্ড তলপেটে ব্যথাও হয়ে থাকে সেই সাথে থাকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কিংবা মাঝে মধ্যে অনিয়মিত কমবেশি রক্তক্ষরণের সমস্যা অনেক সময় এসব সমস্যার সাথে সাথে জ্বরও আসতে পারে অনেকের আবার প্রস্রাবে সমস্যা যেমন প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়ার কথা বলে থাকেন দুর্বলভাবও লাগতে পারে অনেকে আবার স্বামীর সাথে মেলামেশার সময়ও ব্যথা অনুভব করেন

এসব সমস্যার প্রত্যেকটি যে একই রোগীর থাকবে এমনটি কিন্তু নয় দু-একটি উপসর্গ দেখা দিলেই আপনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন আজকাল প্রেগন্যান্সি বা গর্ভধারণে জটিলতা সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ যুবতীদের ধরনের ইনফেকশন, যে ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেয়া হয়নি কারণ পিআইডি যখন ডিম্বনালীতে ছড়িয়ে পড়ে তখন নালীটির মাধ্যমে স্বাভাকি শুক্রাণু চলাচলের ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রেই নষ্ট করে দেয় পরে দেখা যায় বন্ধ্যত্ব (ঝঁনভবৎঃরষরঃু), কাজেই এসব ক্ষেত্রে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই ছাড়া নিজেকেও সব সময় পরিছন্ন রাখতে হবে মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা উত্তম মোটকথা আপনার সচেতনতা, উপযুক্ত সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া এবং সেই অনুযায়ী নিয়ম-কানুন মেনে উপযুক্ত চিকিৎসা আপনাকে অনেক ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে