আসুন প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো থাকি
গরমে সর্দি-কাশি-জ্বর-মাথাব্যথা থেকে--
গরমেই ঠান্ডা লাগে বেশি। চলতি কথায় সর্দিগর্মি। খুবই বিরক্তিকর সমস্যা এটি। নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া, নাক বন্ধ, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, জ্বর, কাঁপুনি—এগুলো হলো এর প্রধান লক্ষণ। আবহাওয়ার আকস্মিক ও দ্রুত পরিবর্তন, গরমে ঘাম ও রোদের তাপ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বেরিয়েই প্রচণ্ড গরম, আবার প্রচণ্ড গরম থেকে এসে খুব ঠান্ডা পানি বা বরফপানি পান করা—এই সবকিছু মিলিয়ে সর্দিগর্মির প্রকোপ এ সময় বেশি। অ্যালার্জির কারণ ছাড়াও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো না-কোনো ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আসল আসামি রাইনো ভাইরাস।তাপমাত্রার ওঠা-নামায় এই ভাইরাস যেমন দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, আর প্রকৃতিতে বেঁচে থাকতেও পারে বেশ কয়েক ঘণ্টা। তবে আর দশটা ভাইরাসজনিত রোগের মতো এই রোগও তেমন মারাত্মক কিছু নয়। সেরেও যায় তেমন কোনো চিকিৎসা ছাড়াই।
1. প্রচুর পানি পান করুন। কোমল পানীয়, অ্যালকোহল বা এনার্জি ড্রিংক নয়; দরকার শুধুই মৌসুমী ফল বা ফলের রস। প্রচুর বিশ্রাম নিন। ভালো ঘুম দিন। তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।
2. গলা ব্যথা বা অস্বস্তিভাব কাটাতে আধকাপ কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। প্রচুর ভিটামিন সি ও জিংকযুক্ত খাবার খান। লেবু ও লেবুজাতীয় ফলে আছে ভিটামিন সি। গরম স্যুপ, গরম পানিতে লেবুর রস বেশ উপকারী। দোকান থেকে দোকানির পরামর্শে কফ সিরাপ বা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না, এতে অনেক সময়ই হিতে বিপরীত হতে পারে।
৩. সর্দিগর্মির সাথে যদি কাশি হয় তাহলে তুলসী ও আদার রস খুব উপকারে দেয়। ফুটন্ত পানিতে তুলসী পাতা ও আদা দিয়ে ভালো করে ফোটান। ঈষদুষ্ণ এই মিশ্রণ খুশখুশে কাশি দূর করবে ও বুকে কফ জমতে দেবে না।আধা চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ার সাথে দুই চা চামচ মধু ও অল্প আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন।আদার রসের সাথে মধু ও মেথিগুঁড়া মিশিয়ে খান। গলাব্যথা থাকলে কমে যাবে।
৪. ফুটন্ত পানিতে দারুচিনি, লবঙ্গ, মধু, গোলমরিচ, থেঁতো করা তুলসী পাতা ও আদা দিয়ে ভালো করে ফোটান। হালকা গরম অবস্থায় বার বার চুমুক দিয়ে খান। সর্দি ভেতর থেকে বেরিয়ে যাবে। গলাব্যথাও কমে যাবে।
5. আকুপ্রেসার থেরাপি করেও খুব সহজেই সর্দি-কাশি-জ্বর-মাথাব্যথা নিরাময় করতে পারি।
No comments:
Post a Comment